বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

দায়িত্বশীলবৃন্দ

Image

এস এম ফরহাদ

সভাপতি

ডিপার্টমেন্ট: সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট

হল: কবি জসীমউদ্দীন হল

সেশন: ২০১৭-২০১৮

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম

ঐতিহাসিক প্রয়োজনে, এই অঞ্চলের গণমানুষের ভাগ্য নির্ধারণের নিমিত্তে ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে পূর্ব বাংলার (বাংলাদেশ) মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অন্যান্য অধিকার আদায়ের প্রাণকেন্দ্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন। 

এদেশকে একটি সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব তৈরির প্রকল্প নিয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই একাগ্রতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেক যাত্রা শুরু করে ইসলামী ছাত্রশিবির। সে লগ্ন থেকে অদ্যাবধি দেশের ক্রান্তিকালীন সময়ে সম্মুখ সারিতে থেকে সংকট উত্তরণে সাহসী ও বুদ্ধিদীপ্ত ভূমিকা রেখেছে এ সংগঠন।

গণমানুষের আকাঙ্ক্ষাকে মূল্যায়ন করে, মূল্যবোধ ও নৈতিকতায় বলিয়ান তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে এগিয়ে চলেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে তার কার্যক্রম গৌরবের সাথে অব্যাহত রয়েছে। কাল-পরিক্রমায় আমাদের কার্যক্রমের কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে অত্যন্ত সফলতার সাথে।  

ইতিবাচক অর্জনে সমৃদ্ধি স্বত্বেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বারেবারে আক্রান্ত হয়েছে অশুভ শক্তির কালো থাবায়। গেস্টরুম, গণরুম সংস্কৃতির করালগ্রাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পিষ্ট হয়েছে সুদীর্ঘকাল। শিক্ষার্থীদেরকে শোসকের গদি টিকিয়ে রাখতে বারবার অপব্যবহার করা হয়েছে; মৌলিক ও মানব অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

জুলাই অভ্যুত্থানের ফলশ্রুতিতে আজ বৈষম্যমুক্ত, নিরাপদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। আমরা সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনে কাজ করতে চাই।

দেশের বাছাইকৃত মেধাবীরা শিক্ষালাভ করতে আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল, সে লক্ষ্যে আমাদের আশানুরূপ ফলাফল পরিলক্ষিত হয়নি। বৈশ্বিক সূচকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সন্তোষজনক নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান, কারিকুলাম, গবেষণা, আবাসনসহ সার্বিক মান উন্নয়নের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈশ্বিক র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে নিয়ে আসতে ছাত্রশিবির ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।

শিক্ষার্থীদের যথার্থ বিকাশের তাগিদে একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযুক্ত জনবল দেশকে উপহার দেওয়াই আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

সর্বোপরি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধকে ধারণ করে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির এই আন্দোলন নিবিড়ভাবে, দুর্বার গতিতে অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।